আগের দুই ম্যাচে টস হারলেও প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছিলো বাংলাদেশ। তৃতীয় ম্যাচে এসে টস জিতে নিজেরাই বেছে নিয়েছে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত। কিন্তু আগের দুই ম্যাচের মত শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ ব্যাট করতে পারছে না। বরং, শুরু থেকেই পড়েছে মহা ব্যাটিং বিপর্যয়ে।
৪১ রানের মাথায় আউ হয়ে যান মোট ৫জন ব্যাটার। এরপর ৬১ রানের মাথায় বিদায় নেন ৬ষ্ঠ ব্যাটারও। সাম্প্রতিক সময়ে এতটা ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়তে দেখা যায়নি আর বাংলাদেশ দলকে। অথচ দুর্দান্ত দুটি ম্যাচ উপহার দেয়ার পর আজকের এই ম্যাচে এসে একে একে উইকেট হারাচ্ছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা।
এ রিপোর্ট লেখার সময় বাংলাদেশের রান ৯.৩ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৬১। শামীম হোসেন পাটোয়ারি ১১ রানে এবং নাসুম আহমেদ ব্যাট করছেন ১ রানে।
বৃষ্টির শঙ্কা থাকলেও সময়মতই শুরু হয়েছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। বাংলাদেশের সামনে আইরিশদের হোয়াইটওয়াশ করার মিশন। অন্যদিকে আইরিশদের সামনে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ানোর মিশন।
এমন এক সমীকরণের ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের পুরো সফরে এই প্রথম বাংলাদেশ টস জিতলো। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই কিছুটা বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং। ২৪ রানের মাথায় টপ অর্ডারের সেরা তিন ব্যাটারের উইকেট হারিয়েছে টাইগাররা।
আগের দুই ম্যাচে বাংলাদেশের দুই ওপেনার লিটন দাস এবং রনি তালুকদার তাণ্ডব চালিয়েছিলেন আইরিশ বোলারদের ওপর। দ্বিতীয় ম্যাচে তো রীতিমত ১২৪ রানের রেকর্ড জুটি গড়েছিলেন তারা। এ দু’জনের উড়ন্ত সূচনার পর বাংলাদেশের স্কোর ২০০ পার হয়ে গিয়েছিলো দুই ম্যাচেই।
কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে এসে লিটন, রনি এবং শান্ত- তিনজনই ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন। ব্যাট করত নেমেই যথারীতি উড়ন্ত সূচনারই চেষ্টা করেছিলেন। একটি বাউন্ডারিও মেরেছিলেন তিনি। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই মার্ক অ্যাডেয়ারের বলে জর্জ ডকরেলের হাতে ধরা পড়েন লিটন দাস। দলীয় রান তখন ৯।
এরপর রনি তালুকদারও তার স্বভাব অনুযায়ী ঝড় তোলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই সেই ঝড় থামিয়ে দিলেন কার্টিস ক্যাম্ফার। ১০ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৪ রান করেন রনি। দলীয় রান তখন ২৪।
তার আগেই ১৮ রানের মাথায় ফিরে যান নাজমুল হোসেন শান্ত। ৮ বল খেলে ধুঁকতে থাকা শান্ত আউট হলেন কেবল ৪ রান করে।
ব্যাটিং বিপর্যয় চলমান রেখে দ্রুত আউট হয়ে যান সাকিব আল হাসান এবং তাওহিদ হৃদয়ও। দলকে ৪১ রানের মাথায় বসিয়ে আউট হন দু’জনই। ৬ বলে তিনি ৬ রান করেন। সম্ভাবনাময়ী তরুণ তাওহিদ হৃদয়ের ওপর আস্থা ছিল এই বিপর্যয়ে হাল ধরবেন। কিন্তু তিনিও পারলেন না। দলীয় ৪১ রানের মাথায় আউট হলেন তিনিও। ১০ বলে তাওহিদ করেছেন ১২ রান।
রিশাদ হোসেন এবং শামীম হোসেন পাটোয়ারি চেষ্টা করেন হাল ধরার। ২০ রানের জুটি গড়ে ৬১ রানের মাথায় আউট হয়ে যান রিশাদ। ৭ বলে ৮ রান করেন তিনি। তাসকিন আহমেদ আউট হন কোনো রান না করেই।
বাংলাদেশ এই ম্যাচে অভিষেক করালো লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনকে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হলো অবশেষে এই লেগ স্পিনারের। মেহেদী হাসান মিরাজের পরিবর্তে রিশাদকে সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। বাংলাদেশও দীর্ঘদিন একাদশে পেলো একজন লেগ স্পিনারকে।
আইডি/প্রিন্স